ব্যবসায়ীক পণ্য ও সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং ব্যাক্তিগতভাবে কোনো তথ্য নির্দিষ্ট মানুষকে অবগত করার জন্য বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব অপরিসীম।
বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে, বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত মানুষ তার ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন পণ্য ও সেবা তৈরি করছে এবং তা মানুষকে জানানোর জন্য বিজ্ঞাপনের পন্থা অবলম্বন করছে।
বিজ্ঞাপন কাকে বলে , এর উদ্দেশ্য, প্রকারভেদ, খরচ ও বিজ্ঞাপনের ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করা হল।
Table of Contents
বিজ্ঞাপন কি
বিজ্ঞাপন হল পণ্য ও সেবা সম্পর্কিত তথ্য, ছবি ও ভিডিও যা সম্ভাব্য ক্রেতার নিকট উপস্থাপন করা হয়, যাতে ক্রেতাগন পণ্য বা সেবাটির প্রতি আগ্রহ দেখায় এবং ক্রয় করতে উৎসাহী হয়।
অর্থাৎ বিজ্ঞাপন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পণ্য বা সেবার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানো হয়।
বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য
মানুষকে শুধু তথ্য জানানোই বিজ্ঞাপনের প্রধান উদ্দেশ্য নয় বরং বিজ্ঞাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ধরণ, দেশের প্রতি তাদের অবস্থান, দায়িত্ব এবং সর্বোপরি জনগনের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিষ্ঠান বা পণ্যকে একটি ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করা।
বিজ্ঞাপনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য নিচে তুলে ধরা হল:
তথ্য পেরণ
বিজ্ঞাপন মানে মানুষকে পণ্য সম্পর্কে তথ্য জানানো।
এটির মাধ্যমে পণ্যের গুনগত মান, উপকারিতা ও পণ্যের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য, ছবি ও ভিডিও আকারে মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়। এভাবে মানুষজন পণ্য বা সেবার বিষয়গুলো জানতে পারে।
প্ররোচিত করা
বিজ্ঞাপনের তথ্যগুলোকে আকর্ষণীয় করাও বিজ্ঞাপনের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য।
তথ্যগুলোকে এমনভাবে উপস্থাপনা করতে হবে যাতে মানুষজন পণ্য সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়। এবং সেটি ক্রয় করার জন্য আগ্রহী হয়।
এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন ডিজাইনের দিকে নজর দিতে হবে। এবং পণ্যের আকর্ষণীয় ছবি বা ভিডিও উপস্থাপন করতে হবে।
স্মরণ করানো
বিজ্ঞাপনের অতি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো মানুষকে বারবার পণ্য বা সেবাটি সম্পর্কে জানানো। ইংরেজিতে যাকে বলে Postioning। Postioning মানে হলো, মানুষের মাথায় বা অবচেতন মনে পণ্য-সেবা সম্পর্কিত তথ্য ঢুকিয়ে দেওয়া, যাতে মানুষজন সবসময় বিজ্ঞাপিত পণ্য বা সেটির কথা স্মরণ রাখতে পারে।
বারবার বিজ্ঞাপন দেখার কারনে মানুষজন পণ্য ও সেবার কথাটি মনে রাখবে এবং চাহিদা তৈরি হওয়া মাত্রই পণ্যটি পাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিবে।
চাহিদা বাড়ানো
নতুন পণ্য বাজারে আসলে বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন হয়। আর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্যটির তথ্য মানুষকে জানানো যায়।
এতে নতুন চাহিদা তৈরি হয়। একটি পণ্যের উপযোগ যত বাড়ানো যাবে। ওই পণ্যের চাহিদা তত বাড়বে।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি পণ্যের উপযোগ অর্থাৎ বিভিন্ন সুবিধার কথা জানানো যায় যা ওই পণ্যটির চাহিদা বাড়িয়ে দেয়।
ব্রান্ড প্রতিষ্ঠা
একটি ব্যবসায়ের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হল নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে একটি ব্রান্ড হিসেবে তৈরি করা যেন তা মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারে।
কোন প্রতিষ্ঠান বা পন্যকে ব্র্যান্ড তৈরি করতে চাইলে, প্রথমে পণ্যটির গুণগত মান যেমন ভাল করতে হবে তেমনি ওই পণ্যটি মানুষের মাথায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
এজন্য পণ্যটি বিক্রি হওয়া সত্বেও, বার বার এটির প্রচার করতে হবে যাতে মানুষ পণ্যটির নাম মাথায় রাখে এবং সে ওয়ার্ড-অফ-মাউথ এর মাধ্যমে অন্যকে জানাতে পারে।
বিক্রি বাড়ানো
বিজ্ঞাপনের সর্বশেষ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো বিক্রি বাড়ানো। উপরের আলোচিত পাঁচটি কাজ ঠিকঠাক করলেই বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
নব্বই দশকে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বলা হতো Telling & Selling যার মানে হল পণ্যটি সম্পর্কে মানুষকে বলো আর বিক্রি করো।
কিন্তু বর্তমানে এই আধুনিক যুগে সেই বার্তা ক্রমশ পরিবর্তন হচ্ছে।
মানুষজন কোনো পণ্য কেনার আগে পণ্যটি সম্পর্কে জানতে চায়, বিজ্ঞাপন দেখে এবং অন্যের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে, তারপর পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বেশি। এই প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে বিজ্ঞাপনের পুরো প্রক্রিয়া মেনে বিক্রয় বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। তাহলে বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য সফলভাবে অর্জন হবে।
বিজ্ঞাপনের প্রকারভেদ
প্রাচীনকাল থেকেই বিজ্ঞাপন শুরু হয়ে থাকলেও উনবিংশ শতাব্দীতে এর বাণিজ্যিক প্রচলন শুরু হয়। বিজ্ঞাপনের যাত্রা প্রিন্ট মিডিয়া দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে আধুনিক বিশ্বের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রচলন চলছে।
বিজ্ঞাপনের বর্তমান কার্যকারিতার ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১. ট্র্যাডিশনাল (Traditional) বিজ্ঞাপন
২. অনলাইন (Online) বিজ্ঞাপন
১. ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপন
যে বিজ্ঞাপন প্রথম থেকে চলে আসছে তাকে মূলত ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপন বলা হয়। যেমন- পেপার,রেডিও, টেলিভিশন, ব্যানার ও লিফলেট বিজ্ঞাপন। কয়েকটি জনপ্রিয় ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপন নিয়ে আলোচনা করা হলো –
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
দৈনিক পত্রিকা বা মাসিক ম্যাগাজিনের পাতায় পণ্যের ছবি বা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
টেলিভিশন বিজ্ঞাপন
ব্যবসায় ছবি লোগো ভিডিও বা পণ্য সম্পর্কিত ভিডিও এ ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিজ্ঞাপন হল টেলিভিশন বিজ্ঞাপন।
বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন
কোন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা স্থান যেখানে লোকজনের সবসময় ভিড় থাকে, সেখানে পণ্যের ছবি ও তথ্য উপস্থাপন করা হয় যাতে লোকজন দেখতে পারে। এধরনের বিজ্ঞাপনকে বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন বলে।
বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনে সুন্দর ডিজাইন থাকা উচিত।
লিফলেট বিজ্ঞাপন
ছোট কাগজে নির্দিষ্ট তথ্য বা ছবি আকারে বানিয়ে সরাসরি টার্গেটেড মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়াই হলো লিফলেট বিজ্ঞাপনের কাজ।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মসজিদে ও জনবহুল এলাকা এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
দেয়াল পোস্টারিং
কিছু নির্দিষ্ট তথ্য ও ছবি কাগজে লিখে বা ছাপিয়ে রাস্তার পাশের দেয়ালে ঘাম বা আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেয়া হয় যাতে চলাফেরা সময় মানুষের চোখে পড়ে এবং মানুষ ওই বিজ্ঞাপনের বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে।
২. অনলাইন বিজ্ঞাপন
ইন্টারনেট ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটের মধ্যে ব্যানার, ছবি ও ভিডিও আকারে কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়াকে অনলাইন বিজ্ঞাপন বলে।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে অনলাইন বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। কারণ মোবাইল ও কম্পিউটার ডিভাইসে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখাটা খুবই আকর্ষণীয় ও ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপন থেকে কার্যকর।
বর্তমানে জনপ্রিয় তিনটি অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
ফেসবুক (Facebook) বিজ্ঞাপন
ফেসবুক বিজ্ঞাপন হলো ফেসবুকে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীকে টার্গেট করে পণ্যের ছবি বা ভিডিও দেখানো।
অর্থাৎ একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্যের ছবি বা ভিডিও পোস্ট আকারে নির্দিষ্ট বয়স,লিঙ্গ ও লোকেশনের মানুষদেরকে দেখানো। ফেসবুকের বিজ্ঞাপনকে বলা হয় ফেসবুক বুস্টিং।
ইউটিউব(Youtube) বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু ভিডিও আকারে ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিওর মধ্যে রেখে মানুষকে দেখানোটাই হলো ইউটিউব বিজ্ঞাপন।
অর্থাৎ আপনি আপনার বিজ্ঞাপনটি ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে দিবেন তারা আপনার বিজ্ঞাপনের ভিডিওটি বিভিন্ন চ্যানেলের ভিডিওর ভেতরে উপস্থাপন করবে যাতে মানুষজন আপনার বিজ্ঞাপনটি দেখতে পারে।
ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপন
ব্যানার আকারে পণ্যের তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করাই হলো ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপন।
ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট অঞ্চলের গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখানো যায়। অথবা বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের মধ্যে এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেয়া যায়।
ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপন VS অনলাইন বিজ্ঞাপন
ট্রেডিশনাল বিজ্ঞাপন হলো বিশেষ করে পত্রিকা ও টেলিভিশনে বিশাল জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেখানো। এ ধরনের বিজ্ঞাপনের প্রধান উদ্দেশ্য হল সারা দেশের মানুষকে পণ্যের বিষয়বস্তু জানানো যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
বড় বড় কোম্পানিরা এ ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন একমুখী। মানে বিজ্ঞাপনদাতা পণ্যের তথ্য মানুষকে জানাতে পারবে কিন্তু যারা বিজ্ঞাপন দেখেছে তাদের প্রতিক্রিয়া সে জানতে পারবে না।
কিন্তু অপর দিকে অনলাইন বিজ্ঞাপন দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করে। এটির মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতা সরাসরি সম্ভাব্য কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এবং কতজন মানুষ দেখেছে এবং তাদের প্রতিক্রিয়া কি, তা অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতা খুব সহজেই জানতে পারে যা ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপনে সম্ভব নয়।
অনলাইন বিজ্ঞাপনের দারুন একটা ব্যাপার হলো বিজ্ঞাপনদাতা তার সম্ভাব্য কাস্টমারদের বয়স, লিঙ্গ ও রুচি অঞ্চলভেদে টার্গেট করতে পারে যা বিজ্ঞাপন দাতার খরচ কমিয়ে দেয় এবং অঞ্চলভিত্তিক বিজ্ঞাপন পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞাপনের খরচ
ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপনের খরচ নির্ভর করে বিজ্ঞাপনের ধরন ও ভিডিও এর সময়ের উপর। বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও বিলবোর্ড কোম্পানি বিভিন্ন রকম খরচ নিয়ে থাকে যা অনেকটা আপেক্ষিক ও পরিবর্তনশীল।
যেমন পত্রিকা বিজ্ঞাপনে প্রতি কলাম ইঞ্চি জায়গায় বিজ্ঞাপন দিতে মিনিমান ২০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
আবার টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে ১০-৬০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিজ্ঞাপনের জন্য সর্বনিম্ন খরচ ৪,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ খরচ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
উভইয়ের ক্ষেত্রে সময় ও জায়গার উপর খরচের তারতম্য দেখা যায়।
অন্যদিকে অনলাইন বিজ্ঞাপনের খরচের তারতম্য নেই বললেই চলে। একজন ব্যবসায়ী মিনিমাম এক ডলার (ভ্যাটসহ ১৩৮ টাকা) খরচ করে ব্যানার বা ভিডিও বিজ্ঞাপন দিতে পারবে যা খুবই কম খরচে এবং কার্যকরী।
বিজ্ঞাপন ডিজাইন
বিজ্ঞাপন ডিজাইনের ভিন্নতা রয়েছে। ট্র্যাডিশনাল অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপস্থাপন মাধ্যম আলাদা। তাই তাদের ডিজাইনগুলো একে অপরের থেকে ভিন্ন। সাধারণত পত্রিকায় ছবি আকারে বিজ্ঞাপনের ডিজাইন করা হয়।
টেলিভিশন বা অনলাইন ভিডিওর ক্ষেত্রে কোনো এজেন্সি থেকে ভিডিও ডিজাইন করে নেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন ডিজাইনের ক্ষেত্রে অবশ্যই শিরোনাম উল্লেখ করতে হবে এবং কোনো স্লোগান থাকলে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ওয়াল পোস্টারিং এর ক্ষেত্রে কোম্পানির ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
মূলত বিজ্ঞাপন ডিজাইনের ক্ষেত্রে যে যে উপাদানগুলো থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা হল-
১. শিরোনাম
২.আকর্ষণীয় ছবি বা ভিডিও
৩. স্লোগান
৪. বিষয়বস্তু
৫. ঠিকানা
শেষ কথা
ব্যবসায়ীদের বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। এটি হলো মানুষের কাছে বিশেষ আয়নার মতো যেখানে সে তার চাহিদা মেটানোর নতুন নতুন পণ্য দেখতে পায়।
এটি ছাড়া একটি ব্যবসা বড় হতে পারে না। ব্যবসায়িক প্রসার ঘটাতে বিজ্ঞাপন যেমন সাহায্য করে তেমনি ব্যবসায় আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখে। ঠিকঠাকভাবে জেনে-শুনে, ব্যবসার বর্তমান অবস্থা বুঝে, বিজ্ঞাপনের প্লাটফর্ম (অনলাইন/অফলাইন) নির্বাচন করা উচিত।
অনেকে ভুল প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এতে যেমন সাড়া পাওয়া যায় না তেমনি খরচ হয় বেশি।
বর্তমানে ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য অনলাইন বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব অপরিসীম।
কারণ ছোট ব্যবসায়ীরা অল্প টাকায় টার্গেটড মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। এতে তাদের প্রচার কাজ যেমন নিয়মিত শৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয় তেমনি কম খরচে নিজেদের ব্যবসায়ের খবর খুব সহজে নিজেদের এলাকার লোকজনকে জানাতে পারে।
বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে বিজ্ঞাপন সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার। এই লেখাতে বিজ্ঞাপনের প্রথমিক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যা একজন ব্যবসায়ীকে বিজ্ঞাপনের বিষয় নিয়ে ভাল ধারনা প্রদান করবে।