জনপ্রিয় ৫টি ফেসবুক এড ফরমেট

ফেসবুক এড ফরমেট

ফেসবুক এড হল ফেসবুক প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেয়া। বিজ্ঞাপনের ধরন বা আকৃতি থাকে।একেক বিজ্ঞপন একেক রকম। সময়, জায়গা, দিবসসহ নানা বিষয়ের উপর বিজ্ঞাপনের ধরন নির্ভর করে।

ফেসবুকেও তেমনি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন বা এড দেয়া যায় যেগুলোর উদ্দেশ্য বিভিন্নরকম হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা মুলত জনপ্রিয় কয়েকটি ফরমেটে ফেসবুক এড দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে জনপ্রিয় পাঁচটি ফরমেট নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. একক ছবির বুস্ট ফরমেট

single picture ad format

এধরনের ফেসবুক এডে শুধুমাত্র একটি ছবি থাকবে এবং সাথে ক্যাপশন হিসাবে কিছু লিখা থাকবে। একটি মাত্র ছবি থাকায় ফেসবুকের এড টুলসের প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো বাধা পায় না। তাই এধরনের বুস্টিং এ বেশি সংখ্যক মানুষকে দেখানো যায় এবং এটি খুব জনপ্রিয় বুস্টিং।

বর্তমানে বিশেষ কোনো অফার, প্রতিষ্ঠানের কোনো জরুরী ঘোষণা ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছবি আকারে এধরনের ফরমেটে ফেসবুকে এড দেয়া হয়।

এধরনের এডে কিছু সুবিধা রয়েছে-

  • এডের ক্যাপশন ছোট হওয়ায় খুব দ্রুত পোস্ট রেডি করা যায়।
  • একটি মাত্র ছবি থাকায় এডের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা যায়।
  • অধিক বেশি রিচ হওয়ায় ভালো রেস্পন্স পাওয়া যায়।

২. বহু ছবির বুস্ট ফরমেট

facebook album ad format

বাংলাদেশের অনেক অনলাইন ব্যবসায়ীর কাছে এধরনের এড ফরমেট খুবই জনপ্রিয়। একটি পোস্টে অনেকগুলো পণ্যের ছবি এলবাম আকারে ফেসবুকে পেজে পোস্ট করার মাধ্যমে এধরনের ফরমেট তৈরি করা হয়।

বেশি ছবি দেওয়ার মাধ্যমে বেশি তথ্য মানুষকে এডের মাধ্যমে জানানো যায়। এতে করে একটিমাত্র এডে অনেকগুলো উদ্দেশ্য পূরণ করা যায়।

এ ছাড়াও এ ধরনের এড ফরমেটের সুবিধাগুলো হল-

  • এক সাথে অনেকগুলো পণ্যের ছবি দেয়া।
  • অডিয়েন্সদেরকে সকল ছবি দেখিয়ে পোস্ট এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করা।
  • এই ফরমেটের এডে কাস্টমার মেসেজ দিলে অনেক গুলো প্রডাক্ট থাকায় বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

৩. ভিডিও বুস্ট ফরমেট

facebook video ad format

একটি ভিডিওসহ পোস্টকে বুস্ট করাটাই হল ভিডিও এড ফরমেট। ভিডিওর সময় যত কম হবে তত বেশি মানুষ দেখবে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে পোস্ট বুস্টিং থেকে ভিডিও বুস্টিং এর রিচ ও ভিউ বেশি হয়। অনলাইনে অনেক পেজের আপুরা ভিডিও এর মাধ্যমে তাদের পণ্যের বিস্তারিত দেখিয়ে কাস্টমারদের আকর্ষন করে খুব সহজে প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন।

এই ফরমেটের কিছু সুবিধা রয়েছে-

  • ভিডিওর মাধ্যমে পণ্যের খুটিনাটি দেখানো যায় ,যা সত্যিকারের দৃশমান অনুভূতি দিবে।
  • ফেসবুক এড ফরমেটের মধ্যে ভিডিও ফরমেটিতে ক্যাপশন বড় করে লিখতে হয় না। কারন ভিডিওতে বক্তার উপস্থাপনাতেই বিস্তারিত বলা হয়।
  • এই ফরমেটের এড, মানুষ কিছুটা সময় নিয়ে দেখে। ফলে পোস্টের এংগেজমেন্ট বাড়ে।

৪. ওয়েব সাইট ও অ্যাপ বুস্ট ফরমেট

facebook app ad format

কোনো ওয়েবসাইটের লিংক অথবা অ্যাপ ডাউনলোডে ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য এ ধরনের বুস্ট ফরমেট ব্যবহার করা হয়।

এ ধরনের বুস্টিং এর কারনে ওয়েব সাইটে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক পাওয়া যায় এবং অ্যাপ ডাউনলোড করানো যায়। কোনো কোম্পানি যখন নতুন অ্যাপ তৈরি করে, তখন তারা ফেসবুকে এড দেয়, যাতে তাদের এডটি বেশি বেশি ডাউনলোড হয়।

এই ফরমেটের কিছু সুবিধা হল-

  • ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ঢুকিয়ে পণ্য বিক্রি করা যায়।
  • নতুন গেমস মার্কেটে আসলে গেমারদেরকে জানানো যায়। এতে গেমে প্রচুর এংগেজমেন্ট হয়।
  • ফেসবুক এডে ইউজারের মোবাইল টার্গেট করে শুধু ঐ মোবাইলের অ্যাপ ডাউনলোড করানো যায়।

৫. পেজ প্রোমোশন ফরমেট

facebook page promotion ad format

নতুন করে ফেসবুক পেজে লাইক বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের প্রোমোশন করা হয়। পেজ প্রোমোশনের মাধ্যমে ফেসবুক আপনার পেজটিকে অনেক মানুষের কাছে দেখাবে, এতে করে ফেসবুক ব্যবহারকারিরা আপনার পেজের প্রতি আগ্রহী হবে এবং লাইক দিবে। ফলে পেজে লাইকের সংখ্যা বাড়বে।

পেজ প্রোমোশনের কিছু সুবিধা রয়েছে-

  • নতুন পেজ খুলে এই ফরমেটে এড চালালে, পেজ আস্তে আস্তে পরিচিত হতে থাকে।
  • পেজ প্রোমোশনের মাধ্যমে পছন্দের অঞ্চলের মানুষদের কাছ থেকে লাইক নিয়ে তাদেরকে পেজের কার্যক্রম দেখানো যায়।
  • পেজে শুধুমাত্র ছেলেদের লাইক নেয়া যায়। আবার শুধু মেয়েদের লাইকও নেয়া যায়। এতে করে ব্যবসায় পরিচালনা করতে সহজ হয়।

সর্বশেষ,

ফেসবুক এড ফরমেট তৈরি করতে হলে অবশ্যই সকল ফরমেট সম্পর্কে আইডিয়া নিয়ে এড ফরমেটটি সেট করা উচিত। এতে করে ফেসবুক বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য অর্জন হবে এবং এড পারফর্মেন্স ভাল হবে।