ফেসবুক বুস্ট নিয়ে ২২টি প্রশ্ন-উত্তর

ফেসবুক পেজ বুস্ট নিয়ে ২২টি প্রশ্ন-উত্তর

বর্তমানে ফেসবুক বুস্ট অনলাইন ব্যবসায়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই একটি অনলাইন ব্যবসায় শুরু করার জন্য একটি ফেসবুক পেজ খুলে থাকে। তারপর তারা সেখানে তাদের পণ্যের ছবি ও দামসহ পেজে পোস্ট করে থাকে। অধিক মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য তারা ফেসবুকে বুস্ট করে থাকে। নিচে ফেসবুক বুস্ট সম্পর্কিত ২২টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেয়া হল যা প্রতিটি অনলাইন ব্যবসায়ীদের জানা উচিত।

১. আমার পেজে লাইক বাড়াতে চাই। কি করবো?

পেজে লাইক বাড়াতে বা ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার উপায় হলো আপনাকে পেজ প্রোমোশন ক্যাম্পেইনে যেতে হবে। পেজ প্রোমোশন করলে যারা আপনার পেজটি পছন্দ করবে তারা পেজে লাইক দিবে। ফলে আপনার পেজের লাইক বাড়বে৷

২. পেজে ১০ হাজার লাইক আনতে কত টাকা লাগবে?

১০/২০/৫০ হাজার লাইক কত টাকায় পাওয়া যাবে, ফেসবুক নিজে কখনো সে হিসেব দেয় না। এটা আপনাকে ফেসবুকে পেজ প্রমোশনের মাধ্যমে ডলার খরচ করে আনতে হবে।

প্রতি ডলারে কত লাইক আসতে পারে, ফেসবুক একটি রেঞ্জ দিয়েছে। যেমন, ফেসবুক পেজ প্রোমোশনে ১ ডলারে ২০-১০০ টি লাইক আসে। আপনার যত লাইক প্রয়োজন, এই রেঞ্জ অনুযায়ী হিসেব করে নিতে হবে।

আর যারা কন্ট্রাক্টে লাইক বিক্রি করে, তারা বিভিন্ন গ্রুপে আপনার পেজ শেয়ার করে ফেইক লাইক(অপ্রয়োজনীয়) অর্জন করে। ফেসবুকে এরকম ফেইক লাইকের বিভিন্ন গ্রুপ আছে যেখানে প্রতি ১০০০ লাইকের জন্য ২৫০-৩০০ টাকা চার্জ করবে। ফেইক লাইক আপনার পেজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আপনার যত লাইক লাগবে তা পেজ প্রোমোট এর মাধ্যমে নিয়ে নিবেন। এতে খরচ একটু বেশি হলেও রিয়েল এবং এক্টিভ লাইক পাওয়া যাবে। ফলে পজের কোয়ালিটিও ভালো থাকবে।

৩. বুস্ট এর ক্ষেত্রে টার্গেট কাস্টমার কারা?

আপনি আপনার অ্যাডটি যাদেরকে দেখাতে চান তারাই আপনার টার্গেট কাস্টমার।

ধরুন, আপনি আপনার পেজে জুতো বিক্রি করছেন। আপনি চাচ্ছেন, সারা বাংলাদেশে জুতা ডেলিভারি দিবেন। তার মানে আপনার কাস্টমার হবে সারা বাংলাদেশের মানুষজন।

আবার ধরুন, আপনি চিন্তা করলেন যে কোন কোন টাইপের মানুষ জুতা কিনতে পারে, শুধু তাদেরকেই বিজ্ঞাপনটি দেখাবেন।  তাহলে অডিয়েন্স অপশনে, যারা অনলাইনে কেনা-কাটা করে ও জুতা কেনার প্রতি আগ্রহ যাদের আছে, শুধু তাদেরকেই টার্গেটড করে দিবেন। এরাই হবে আপনার টার্গেটেড কাস্টমার।

৪. সর্বনিম্ন ফেসবুক বুস্টে কত খরচ হবে আর কতটা লাইক আসবে?

বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষই শুরুতে ৫-১০ ডলার দিয়ে এড রান করে। তারপর রেসপন্স বাড়তে থাকলে আস্তে আস্তে বাজেটেও বাড়াতে থাকে। আর প্রোফেশনালি পুরো মাস জুড়ে একটানা বুস্ট করতে পারলে ভাল রেসপন্স পাওয়া যায়।

তবে ফেসবুক বুস্ট করতে কত টাকা লাগে এবং কত ডলারে কত লাইক বা ম্যাসেজ আসবে- এরকম একটি পরিসংখ্যান নিচে দেয়া হল-

বাজটঃ ৫ ডলার

Get more message goal-

  • রিচ হবে ২৮০০-৪৫০০ এর মত।
  • মেসেজ আসবে ২০ – ১০০ টি।

Get more Engagement goal-

  • রিচ হবে ৫০০০-১৫০০০ এর মত।
  • পোস্টে লাইক পরবে ১৫০-৫০০ টির মত।

Page promotion goal-

  • পেজে টার্গেটেড লাইক আসবে ১০০-২৫০ এর মত।

বাজটঃ ১০ ডলার

Get more message goal-

  • রিচ হবে ৫০০০-১৫০০০ এর মত।
  • মেসেজ আসবে ৪০ – ১৫০ টি।

Get more Engagement goal:

  • রিচ হবে ১০০০০- ৩০০০০ এর মত।
  • পোস্টে লাইক পরবে ৩০০-১০০০ টির মত।

Page promotion goal:

  • পেজে টার্গেটেড লাইক আসবে ২০০-৭০০ এর মত।

সর্বোপরি, স্বাভাবিকভাবে এই রেঞ্জের উপর ফলাফল আসার কথা। তবে আপনার পন্যের ধরন ও বুস্ট সেটের উপর ফলাফল কম আসবে না বেশি আসবে সেটা নির্ভর করবে।

৫. পাঁচ ডলার কত দিনের জন্য বুস্ট করলে ভাল হবে?

৫ ডলার আপনি ১ দিনের জন্য করতে পারেন। আবার ২/৩ দিনের জন্য করতে পারেন। এতে করে রিচ কম বেশি হবে না।

মনে রাখবেন, ডলার খরচ হলে রিচ এবং রেসপন্স দুটোই বাড়বে। এখানে ডলার খরচ করাটাই মূখ্য ব্যাপার। তারপরও অনেকে চায় তার এডটি বেশি দিন চলুক।

৫ ডলার সর্বোচ্চ ৫ দিনের জন্য খরচ করলে ধীর গতিতে রেসপন্স পাওয়া যাবে। ছোট-খাট ব্যবসায়ীদের ৫ ডলার ৩ দিনের জন্য খরচ করাটা স্ট্যান্ডার। আর ১/২ দিনের জন্য করলে অল্প সময়ে বেশি রেসপন্স পাওয়া যাবে।

৬. দশ ডলার বুস্ট কত দিনের জন্য ভাল হবে?

১০ ডলার ৪/৫ দিনের জন্য বুস্ট করাটা স্ট্যান্ডার্ড। তবে আপনি চাইলে ১০ ডলার ১০ দিনেও খরচ করতে পারবেন। কিন্তু এতে করে ধীরগতির রেসপন্স পাবেন।

অনেকে ১০ ডলার ১ দিনে খরচ করে একসাথে সকল রেসপন্স ১ দিনেই নিয়ে নেয়।

৭. এক ডলারে কতটি লাইক আসে?

১ ডলারে পেজে লাইক আসবে ২০-১০০ টির মত। লাইকের এই রেঞ্জের সর্বোচ্চটা আসবে না সর্বনিম্নটা আসবে, সেটা নির্ভর করবে আপনার এড সেটের উপর।

এড সেটটি ভাল হলে লাইক বেশি আসবে। আর এড সেটটি ঠিকঠাক না হলে লাইক কম আসবে।

৮. এক ডলারে কত রিচ হয়?

১ ডলারে স্বাভাবিক রিচ ৭০০-৩০০০ এর মত। রিচ বেশি হবে নাকি কম হবে সেটা নির্ভর করবে আপনার পোস্ট অপটিমাইজেশন এর উপর।

যদি পোস্টের ক্যাপশনে কম টেক্সট থাকে, ছবিতে ওয়াটার মার্ক বা ছবির উপর বেশি লিখা না থাকে এবং পোস্টে ইমোজি কম থাকে, তাহলে রিচ বেশি আসবে।

৯. এক ডলারে মেসেজ কত পাওয়া যায়?

১ ডলারে স্বাভাবিকভাবে মেসেজ আসে ৪-২০ টির মত। রিচ বেশি হলে মেসেজর সংখ্যা বেশি আসবে এবং রিচ কম হলে মেসেজও কম আসবে।

১০. এক ডলারে পোস্টে কতটি লাইক পাওয়া যায়?

১ ডলারে পোস্ট এঙ্গেজমেন্ট (Engagement) গোল সেট করলে পোস্টে লাইক আসবে ৫০-১০০ টি এবং মেসেজ গোল সেট করলে লাইক আসবে ১০-৩০ টি।

১১. রিচ কি?

রিচ শব্দের অর্থ হলো ‘পৌঁছানো’। ফেসবুক রিচ মানে হল মানুষের কাছে আপনার পোস্টটি বা বিজ্ঞাপনটি  পৌঁছানো। ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার একটি উপায় হল রিচ বাড়ানো।

ধরুন, আপনার পেজে ১০০ লাইক আছে। এখন আপনি একটি পোস্ট করলেন।এই পোস্টটি যদি ১০০ জন দেখে তাহলে বুঝে নিবেন ১০০ জনের কাছে আপনার পোস্টটি রিচ হয়েছে।

আবার আপনি যদি আপনার পেজের লাইকারদের ছাড়াও অন্য টার্গেটেড কাউকে আপনার পোস্টটি দেখাতে চান, তাহলে ফেসবুক পেইড এড সেট করে রিচের সংখ্যা বাড়াতে পারবেন।

১২. এঙ্গেজমেন্ট (Engagement) কি?

ফেসবুকের যে কোনো পোস্টটে ক্লিক করা, লাইক দেয়া, কমেন্ট করা, ফটো ভিউ করা, ভিডিও দেখা এবং শেয়ার করার সামষ্টিক সংখ্যাটাই হল এঙ্গেজমেন্ট।

ধরুন, আপনার পেজের একটি পোস্টে ২০টি লাইক, ৬টি কমেন্ট, ২০টি ফটো ভিউ ও ৪টি শেয়ার হয়েছে। তাহলে আপনারা ঐ পোস্টে ৫০ টি (২০+৬+২০+৪) এঙ্গেজমেন্ট হয়েছে।

১৩. অডিয়েন্স কি?

অডিয়েন্স বলতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে বোঝানো হয়।

বাংলাদেশের ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। তার মানে এই ৩+ কোটি মানুষই হল অডিয়েন্স।

তবে আপনার প্রডাক্টটি লোকেশন ও টার্গেটেড অনুযায়ী যাদেরকে দেখাবেন তারাই মুলত আপনার পেজের জন্য টার্গেটেড অডিয়েন্স।

১৪. বাংলাদেশে এজেন্সিগুলো সার্ভিস চার্জসহ  ডলার রেট কত নেয়?

বর্তমান ফেসবুক ও গুগল এডের উপর ১৫% ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে এবং সেটি সরকার কার্যকরভাবে পালন করছে।

বাংলাদেশের ব্যাংক গুলোতে ডলার রেট কিছুটা উঠানাম করলেও বর্তমানে গড়ে ১ ডলারে কিনতে বর্তমানে ১১৮ টাকা খরচ পরে। ১৫% ভ্যাটসহ ১ ডলার এজেন্সিগুলোকে কিনতে খরচ প্রায় ১৩৬ টাকার মত।

কেউ ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং কোনো কোনো এজেন্সি ২০ টাকা সার্ভিস চার্জে যথাক্রমে প্রতি ডলারে খরচ ১৪৬ ও ১৫৬ টাকা নিয়ে থাকে ৷

অনেক এজেন্সি কুপন ও ভিপিএন ব্যবহার করে ফেইক ভার্চুয়াল কার্ড দিয়ে ফেসবুক এড রান করে, ফলে ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার কারনে তাদের খরচ কম পরে। তবে কুপন ও ফেইক ভার্চুয়াল কার্ড দিয়ে Boost না করাই ভাল।

১৫. ফেসবুক পোস্ট বুস্ট (Boost) শুরু হতে কত সময় লাগে?

স্বাভাবিকভাবে বুস্ট সেট করার পর রিভিউতে থাকে ৷ ফেসবুক রিভিউতে ১০ মিনিট থেকে ২৪ ঘন্টা সময় নেয়। যদি পোস্টে কোনো সমস্যা থাকে অথবা পোস্টটি এড পলিসি ভঙ্গ করতে পারে- এরকম হয়, তাহলে এক্টিভ হতে কয়েক ঘন্টা সময় বেশি লাগতে পারে।

আর যদি আগে একবার একটি পোস্ট এক্টিভ করা হয়েছিল,সেই পোস্ট যদি আবার এক্টিভ করার জন্য রিভিউতে দেয়া হয়, তাহলে ফেসবুক সেটি খুব দ্রুত এক্টিভ করে দেয়।

১৬. ফেসবুক ভিডিও বুস্ট নাকি পোস্ট বুস্ট কোনটা ভাল হবে?

ফেসবুক ভিডিও বুস্ট এবং পেজ বুস্ট উভয় বুস্টিং এর রেজাল্ট কখনও কখনও একই আসে আবার ভিন্নও হয়।

তবে শর্ট ভিডিও(২০ সেকেন্ডের কম) বুস্টিং এ রিচ এবং ভিউ বেশি হয়। আবার লং-ভিডিওতে রিচ কম হয়।

ভিউ বেশি হলে এঙ্গেজমেন্ট ভাল হয়, আর ভিউ কম হলে এঙ্গেজমেন্টও কম হবে।

অন্যদিকে পোস্ট বুস্টিং ভাল করে সেট করলেও রিচ ভাল হয়। তবে ভিডিও বুস্টিং রিচ এবং মেসেজ বুস্টিং থেকে কিছুটা ভিউ বেশি হয়।

১৭. বুস্টিং এ ম্যসেজ গোল নাকি এঙ্গেজমেন্ট গোল- কোনটা ভাল হবে?

২টি গোলের উদ্দেশ্য ২ রকমের। মেসেজ গোল সেট করে বুস্টিং করলে মেসেজ পাওয়া যাবে। এই গোল সেট করে এড দিলে ফেসবুক তাদেরকেই এড দেখাবে যারা আপনার এডটি দেখা মাত্রই মেসেজ দিবে।

যারা সেলের জন্য বুস্টিং করে তাদের জন্য মেসেজ গোলটি খুবই প্রয়োজন। কারন মেসেজ আসলে কাস্টমারদের সাথে কথা বলে সেল করার একটি সুযোগ তৈরী হয়।

অন্যদিক এঙ্গেজমেন্ট গোল সেট করা হয় পোস্টে লাইক কমেন্ট বাড়ানোর জন্য। এঙ্গেজমেন্ট গোলে, পোস্টে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পড়ে। নরমালি, যারা একটা লোকেশনের মানুষকে পেজ সম্পর্কে বারবার জানাতে চায়, তারা এই গোল সেট করে ফেসবুকে এড দেয়।

টিভিতে যেমন একটি বিজ্ঞাপন বার বার দেখানো হয়, তেমনি এংগেজমেন্ট বুস্টের পোস্টও বার বার দেখানো হয় যাতে ব্যবসায়ের ভালো প্রচার হয়।

১৮. বুস্ট করলে কি সেল হয়?

বুস্ট করলে আপনার পেজের লাইকার ছাড়াও অনেক নতুন নতুন ফেসবুক ব্যবহারকারী আপনার পোস্টটাি দেখবে, লাইক দিবে, কমেন্ট করবে ও মেসেজ দিবে।

কমেন্ট ও মেসেজের মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে কথা বলার সুযোগ তৈরী হয়। তখন দাম কষাকষি হয় এবং বিক্রয় দক্ষতা দিয়ে কাস্টমারকে পণ্য কেনার জন্য আগ্রহী করে তোলা যায়।

ফলে সেল হওয়ার সুযোগ তৈরী হয়। তাই বলা যায় ফেসবুক বুস্ট করার নিয়ম মেনে বুস্ট করলে সেল হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেল হয়।

১৯. দিনের কোন সময় বুস্ট সেট করা ভাল?

১ দিনের বুস্ট ২৪ ঘন্টার জন্য হয়ে থাকে। এই ২৪ ঘন্টার যে কোনো সময় বুস্ট রান করা যাবে। তবে বাংলাদেশের মানুষ সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অনলাইনে বেশি থাকে। এই সময়টিকে পিক আওয়ার বলা হয়।

এই সময় ডলার স্পেন্ড যেমন বেশি হয় তেমনি রেসপন্সও ভাল আসে। যেহেতু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সন্ধ্যা-রাত থাকছে সেহেতু দিনের যেকোনো সময় বুস্ট রান করা যেতে পারে।

তবে সন্ধ্যা বা রাতে বুস্ট রান করলে বেশি ডলার খরচ হবে এবং বেশি মানুষ দেখবে। ফলে বুস্ট এক্টিভ হওয়ার সাথে সাথেই রেসপন্স আসা শুরু হবে।

২০. লাইভ ভিডিও কি বুস্টিং করা যায়?

সরাসরি লাইভ ভিডিও বুস্ট করা যাবে না। ফেসবুকের এড পলিসিতে এরকম কোনো নিয়ম নেই।

লাইভ শেষ হওয়ার পর ভিডিওটি বুস্ট করা যাবে। ফেসবুক সরাসরি লাইভটি রিভিউ করতে পারে না বিধায় লাইভ বুস্টে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

লাইভ শেষে ভিডিওটি বুস্টের জন্য সেট করলে সেটি রিভিউতে যাবে এবং সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বুস্টটা এক্টিভ হবে।

২১. রাতের বেলা বুস্ট কি অফ রাখা যাবে?

রাতের বেলা মানুষ যখন ঘুমাতে যায়, তখন ফেসবুক বুস্টকৃত পোস্টটি অল্প রিচ করতে পারে।

যেহেতু ফেসবুকে অল্প মানুষ এক্টিভ থাকে, তাই আপনার ডলার খরচও কম হবে।

রাতে শুধুমাত্র যারা এক্টিভ থাকবে তাদেরকেই আপনার এডটি দেখানো হবে। এতে করে কোনো বাড়তি খরচ হবে না। রিচ কম, ডলার খরচ কম। তাই রাতের বেলা বুস্ট অফ না রাখাই ভাল।

সাধারনত দিনের বেলায় ৩০%, রাতে ৬৫% ও মিডনাইটে ৫% মানুষ এক্টিভ থাকে। আপনার ডলার খরচ এই হারে হবে।

২২. ফেসবুক পেজ কি ফ্রি বুস্ট করা যাবে?

ফেইসবুক পেজ ফ্রি বুস্ট করা যায় না। ফেইসবুক ফ্রিতে এ ধরণের কোন সার্ভিস দিয়ে থাকে না।

ফেসবুক পেজ বড় করা, লাইক বাড়ানো এবং ইনবক্সে মেসেজ সংখ্যা বাড়ানোর একমাত্র দ্রুত উপায় হলো ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস নেওয়া।